বাকখালী নদী অবশ্যই অবৈধ দখল মুক্ত করা হবে: পরিবেশ উপদেষ্টা

ছবি সংগৃহীত

 

অনলাইন ডেস্ক : কক্সবাজারের বাকখালী নদী অবশ্যই অবৈধ দখল মুক্ত করা হবে বলে জানিয়েছেন পরিবেশ ও বন উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান।

 

শনিবার (৬ সেপ্টেম্বর) দুপুরে রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে নগর সংলাপে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা জানান।

 

তিনি বলেন, বাকখালী নদীতে উচ্ছেদে বাধা দিলো কারা? এতে কারা খুশি হলো খুঁজে বের করেন। কেন সেখানে লোকজন জড়ো করে বাধা দেওয়া হলো? বাকখালী নদীকে দখলমুক্ত করার জন্য পাঁচ দিনের উচ্ছেদ অভিযান ছিল। তৃতীয় দিনের মাথায় বাধা দেওয়া হলো। এখন অভিযান বন্ধ আছে। তবে অবশ্যই আমরা বাকখালী নদী থেকে অবৈধ দখল উচ্ছেদ করব।

 

তিনি আরও বলেন, বাকখালী নদীকে কারা দখল করে বহুতল ভবন গড়লো। কেন গত ১৫ বছরে বাধা দেওয়া হলো না। কোন রাজনৈতিক দলের পৃষ্ঠপোষকতায় এই নদী দখল করা হলো?

 

পরিবেশ উপদেষ্টা বলেন, দেশের দূষণ ও দখল হওয়া নদীগুলোর তালিকা করছে নদী গবেষণা ইন্সটিটিউট। এজন্য তাদের গবেষণার জন্য ৪ কোটি টাকা দেওয়া হয়েছে। যা আগে ছিল মাত্র ৪৫ লাখ টাকা। ফলে প্রায় ১৪৫ জন জনবল নিয়েও তারা তেমন কোনো গবেষণা করতে পারেনি।

 

তিনি আরও বলেন, হাওরের তালিকা ও সুরক্ষার বিষয়টি চূড়ান্ত হতে চলেছে। চলনবিলের চারটি মৌজায় সকল ভূমির রেকর্ড করা হয়েছে। যাতে চলন বিলে আর দখল না হয়। আড়িয়াল বিলের সীমানা নির্ধারণ ও বিলাইবিলের কাজও চলছে।

উপদেষ্টা বলেন, ঢাকা সিটির ৪০টির মতো পুকুর উদ্ধারে জেলা প্রশাসককে টাকা দেওয়া হয়েছে। খালগুলো পুনরায় খননের কাজ হাতে নেওয়া হয়েছে। খালগুলো খননের কারণে এবার জলাবদ্ধতা হয়নি। ব্লু নেটওয়ার্কের অধীনে ৫টি নদী ও ৪০টি খালের কথা রয়েছে। এছাড়াও ১৩টির ওপর প্রকল্প নিয়ে কাজ করা হবে। ঢাকার জলাশয়গুলোকে উদ্ধারের কোনো বিকল্প নাই। ঢাকাকে বাঁচাতে জলাশয়গুলো উদ্ধার করতে হবে।

 

অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন দেশ রূপান্তর সম্পাদক, সমকালের বিশেষ প্রতিবেদক অমিতোষ পাল, স্থপতি ইন্সটিটিউটের সাবেক নগরায়ন ও পরিবেশ সম্পাদক সুজাউল ইসলাম খান, বায়ুমন্ডলীয় দূষণ অধ্যায়ন কেন্দ্র (ক্যাপস) ড. আহমদ কামরুজ্জামান মজুমদার, দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের সাবেক প্রধান প্রকৌশলী মোহাম্মদ নুরুল্লাহ ও ইউএনডিপির বাংলাদেশের প্রজেক্ট ম্যানেজার ইয়ুগেস প্রানাধাং
প্রমুখ৷

Facebook Comments Box

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



সর্বশেষ আপডেট



» র‌্যাংকিংয়েও আফগানদের টপকে গেল টাইগাররা

» রাজাকারের নাতিপুতি আখ্যা দেওয়া শিক্ষার্থীদের জন্য ছিল অপমানজনক

» নিরপেক্ষ নির্বাচনের মাধ্যমে মানুষ পছন্দের প্রার্থীকে বেছে নেবে: টুকু

» রাতারগুলের অবকাঠামো উন্নয়নে সরকার পাশে থাকবে: আসিফ নজরুল

» প্রধান উপদেষ্টা জাতিসংঘে যাচ্ছেন ৪ রাজনীতিবিদকে নিয়ে

» এবারের দুর্গাপূজা উৎসবমুখর পরিবেশে অনুষ্ঠিত হবে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

» দুর্গাপূজায় আমাদের সর্বোচ্চ সতর্ক ও প্রতিরোধের প্রস্তুতি থাকতে হবে: তারেক রহমান

» পিআর দাবি জনগণের আঙ্খাকার সঙ্গে ‘মুনাফেকি’: রিজভী

» পূজামণ্ডপের নিরাপত্তায় অতন্দ্র প্রহরী হোন: নেতা-কর্মীদের মির্জা ফখরুল

» সফররত ইইউ প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বিএনপির বৈঠক

  

 

আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন:ই-মেইল : [email protected]

Desing & Developed BY PopularITLtd.Com
পরীক্ষামূলক প্রচার...

বাকখালী নদী অবশ্যই অবৈধ দখল মুক্ত করা হবে: পরিবেশ উপদেষ্টা

ছবি সংগৃহীত

 

অনলাইন ডেস্ক : কক্সবাজারের বাকখালী নদী অবশ্যই অবৈধ দখল মুক্ত করা হবে বলে জানিয়েছেন পরিবেশ ও বন উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান।

 

শনিবার (৬ সেপ্টেম্বর) দুপুরে রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে নগর সংলাপে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা জানান।

 

তিনি বলেন, বাকখালী নদীতে উচ্ছেদে বাধা দিলো কারা? এতে কারা খুশি হলো খুঁজে বের করেন। কেন সেখানে লোকজন জড়ো করে বাধা দেওয়া হলো? বাকখালী নদীকে দখলমুক্ত করার জন্য পাঁচ দিনের উচ্ছেদ অভিযান ছিল। তৃতীয় দিনের মাথায় বাধা দেওয়া হলো। এখন অভিযান বন্ধ আছে। তবে অবশ্যই আমরা বাকখালী নদী থেকে অবৈধ দখল উচ্ছেদ করব।

 

তিনি আরও বলেন, বাকখালী নদীকে কারা দখল করে বহুতল ভবন গড়লো। কেন গত ১৫ বছরে বাধা দেওয়া হলো না। কোন রাজনৈতিক দলের পৃষ্ঠপোষকতায় এই নদী দখল করা হলো?

 

পরিবেশ উপদেষ্টা বলেন, দেশের দূষণ ও দখল হওয়া নদীগুলোর তালিকা করছে নদী গবেষণা ইন্সটিটিউট। এজন্য তাদের গবেষণার জন্য ৪ কোটি টাকা দেওয়া হয়েছে। যা আগে ছিল মাত্র ৪৫ লাখ টাকা। ফলে প্রায় ১৪৫ জন জনবল নিয়েও তারা তেমন কোনো গবেষণা করতে পারেনি।

 

তিনি আরও বলেন, হাওরের তালিকা ও সুরক্ষার বিষয়টি চূড়ান্ত হতে চলেছে। চলনবিলের চারটি মৌজায় সকল ভূমির রেকর্ড করা হয়েছে। যাতে চলন বিলে আর দখল না হয়। আড়িয়াল বিলের সীমানা নির্ধারণ ও বিলাইবিলের কাজও চলছে।

উপদেষ্টা বলেন, ঢাকা সিটির ৪০টির মতো পুকুর উদ্ধারে জেলা প্রশাসককে টাকা দেওয়া হয়েছে। খালগুলো পুনরায় খননের কাজ হাতে নেওয়া হয়েছে। খালগুলো খননের কারণে এবার জলাবদ্ধতা হয়নি। ব্লু নেটওয়ার্কের অধীনে ৫টি নদী ও ৪০টি খালের কথা রয়েছে। এছাড়াও ১৩টির ওপর প্রকল্প নিয়ে কাজ করা হবে। ঢাকার জলাশয়গুলোকে উদ্ধারের কোনো বিকল্প নাই। ঢাকাকে বাঁচাতে জলাশয়গুলো উদ্ধার করতে হবে।

 

অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন দেশ রূপান্তর সম্পাদক, সমকালের বিশেষ প্রতিবেদক অমিতোষ পাল, স্থপতি ইন্সটিটিউটের সাবেক নগরায়ন ও পরিবেশ সম্পাদক সুজাউল ইসলাম খান, বায়ুমন্ডলীয় দূষণ অধ্যায়ন কেন্দ্র (ক্যাপস) ড. আহমদ কামরুজ্জামান মজুমদার, দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের সাবেক প্রধান প্রকৌশলী মোহাম্মদ নুরুল্লাহ ও ইউএনডিপির বাংলাদেশের প্রজেক্ট ম্যানেজার ইয়ুগেস প্রানাধাং
প্রমুখ৷

Facebook Comments Box

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



সর্বশেষ আপডেট



সর্বাধিক পঠিত



  

 

আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন:ই-মেইল : [email protected]

Design & Developed BY ThemesBazar.Com